ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে রবিবার (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৮টি ট্রাক-কার্ভাডভ্যানসহ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। হরতালে পুলিশ-হেফাজতের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশে বেশ কয়েকজন সদস্য।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪ হাজার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় প্রায় এক থেকে দেড়শ’টি কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করা হয়।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার রাতে এ ঘটনায় পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন মালিকরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। হরতালকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ১৮টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। পুড়িয়ে দেয়া গাড়ির মধ্যে রয়েছে নয়টি বড় ট্রাক, পাঁচটি কার্ভাডভ্যান এবং একটি বিআরটিসি বাস।
এছাড়া দু’টি ট্রাকের কাঁচ ভাঙচুর ও চ্যানেল নিউজ ২৪ এর গাড়িসহ শতাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। এর আগে সকাল থেকে হেফাজত সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে টায়ার, বেঞ্চ জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সচল করতে হরতালকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে তারা। এ সময় হেফাজত- পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় আট-দশজন সদস্য আহত হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪ হাজার রাউন্ড গুলি ও প্রায় এক থেকে দেড়শ’টি কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত বাস, ট্রাকসহ প্রায় ১৮টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর সবচেয়ে বেশি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। সকালে তিনটির মত গাড়ি পোড়ানো হয়।