হাই কোর্টে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী কায়সার কামাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।
আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রকে বিবাদী করে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে বলে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কায়সার কামাল বলেন, ‘গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ পরিচালনার যে আদেশ দিয়েছেন তা আইন বহির্ভূত। এ কারণে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে একটা রিভিশন আবেদন করা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট অবৈধভাবে জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলাটি করে দুদক।
কায়সার কামাল আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই আদালতটাই অবৈধ। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হননি। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে তার সুস্থতা সবার আগে দেখা উচিত। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না’। এসময় তিনি খুব শীঘ্রই এই আবেদনের শুনানি হবে বলে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। খালেদা জিয়ার কারাগারের একটি কক্ষে বিশেষ এজলাস বসিয়ে আলোচিত মামলার বিচার শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এই আদালতে হাজির হননি খালেদা জিয়া। এর প্রেক্ষিতে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বিচারক।
সূত্র: বিডি নিউজ।