Sunday, March 16, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

যেমন হবে এবারের লকডাউন

সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যার অর্থ ঘরের বাইরে জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম

সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যার অর্থ ঘরের বাইরে জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। 

এর আগে ২৯ মার্চ সরকার কর্তৃক জারি করা ১৮ দফা নির্দেশনার পরই নতুন পদক্ষেপ হিসেবে আসছে  লকডাউনটি। গত একমাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃত্যুর উর্ধ্বগতি মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গেরই নির্দেশ দিচ্ছিল, যার ফলে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। 

শনিবার (৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ঢাকা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “কোভিড-১৯ এর এই নতুন তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কী কী নির্দেশনা দরকার হবে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আজ বিকালে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সাথে একটি বৈঠকের পর বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে।”

তিনি আরও জানান,“বৈঠকের পর লকডাউন সংক্রান্ত একটি সঠিক নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।”

গত বছর আরোপিত "সাধারণ ছুটির দিনগুলোর" তুলনায়, এবারের নতুন লকডাউনটি জনসাধারণের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি হাতিয়ার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দীর্ঘ পথে কাওকে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। তবে কর্মকর্তা এবং কর্মীরা লকডাউনের সময় তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে লকডাউনের প্রাথমিক কয়েকটি নির্দেশনা সম্পর্কে জানান।

তিনি জানান, 

-সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালত বন্ধ থাকবে।

- হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, থানা, স্থানীয় প্রশাসন এর মতো জরুরি পরিষেবা কার্যক্রমগুলো চালু থাকবে।

- শিল্প ও কলকারখানাগুলো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করে এবং শিফট ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাবে। তবে কাউকে কর্মক্ষেত্রের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।

- সব ধরনের ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে।

তবে, ব্যাংক কার্যক্রম, শপিংমল এবং রাস্তায় জনচলাচলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

উল্লেখ্য গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটির ঘোষণার পরপরই নগরবাসী, প্রধানত গার্মেন্টস কারখানা এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শহর ছাড়ার জন্য বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন যাতায়াত পথে ভীড় করেছিল।

   

About

Popular Links

x