নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবির পর মোট ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত মোট ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই শিশুসহ ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন নারী, নয়জন পুরুষ ও দু’জন শিশু।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর কয়লা ঘাট ও বন্দর মদনগঞ্জ এলাকার মাঝামাঝি শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর নিচে একটি কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় এমএল সাবিত আল হাসান নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চে অনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী ছিল।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ্ জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খারিজা তাহেরা ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনে প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটি-এর চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেকের নির্দেশে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিআইডব্লিউটি-এর পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) রফিকুল ইসলামকে।