চলমান লকডাউনের কারণে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর নিজ টিকাকেন্দ্র থেকে দূরে আটকা পড়েছেন অনেকেই। এতে অনেকেই অন্য কোনো টিকা কেন্দ্র থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
তবে টিকার প্রথম ডোজ যে কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে সে কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ না নিলে টিকা সার্টিফিকেট মিলবে না বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নেওয়া যায়। এখনই কেন্দ্র পরিবর্তন করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং। সফটওয়্যারের ওপর চাপ পড়বে।
অফিসিয়ালি কেন্দ্র পরিবর্তন না করলে পরে টিকার সনদ পেতে সমস্যা হবে জানিয়ে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “এই কারণেও আমরা এখন এ নিয়ে কিছু করছি না। যদি দেখি যে লকডাউন বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে তখন এ নিয়ে কাজ করবো। আপাতত যেহেতু ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সুযোগ আছে, তখন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। এরমধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলে সবাই নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।”
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “যার কাছে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার এসএমএস যাবে, তারা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে কার্ড দেখিয়ে টিকা নেবেন। কিন্তু অনেকেই চলে আসছেন, এতে করে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই কেন্দ্র থেকে এসএমএস পাওয়ার টিকা নিতে আসার অনুরোধ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথম ডোজ যেখান থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সেখান থেকেই নিতে হবে। ৫৬ দিন পরেও টিকা নেওয়া যাবে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। যারা চাকরির সুবাদে বদলি হয়েছেন তাদের নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। যেখানে তিনি বদলি হয়েছেন সেখানে কীভাবে টিকা দেওয়া যায় সে নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”