বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার দল বিএনপি সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি দৃঢ়ভাবে অংশগ্রহণ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বড় দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সমাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হবে’।
এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রথমবারের মত বিএনপি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। তবে, এখন আমাদের দরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার, যা এখন নেই। আমরা তাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কোনও রাজনৈতিক দলের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না’।
তবে, বিএনপি নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশছাড়া। তার বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আটক অবস্থায় আছেন। এছাড়াও দলটির অন্য অনেক শীর্ষ নেতাও বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করছেন।
এবিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে এবার কে লড়বেন’।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। তবে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেও ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এখন পর্যন্ত তাদের এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।