অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ফেরি চলাচল। এর আগে গতকাল বিকেল ৫টার পর থেকে সব ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার দুপুরে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে শিমুলিয়ার ২ নম্বর ঘাটের পন্টুনটি ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ ও ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই পদ্মা নদীতে উত্তাল ঢেউ। ঢেউয়ের উচ্চতা প্রায় তিন ফুট। এছাড়া পদ্মার পানিও আড়াই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল অব্যহত থাকলেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সকাল ৮টার পর ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে প্রচণ্ড ঢেউয়ে শিমুলিয়া ২ নম্বর ঘাটের পন্টুন ছিঁড়ে দুইভাগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শিমুলিয়ার অন্য ঘাটগুলোতে পন্টুন ও নৌঙর করা ফেরিগুলো নদীর উত্তাল ঢেউয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে ফেরি পারপারের অপেক্ষায় সকাল থেকে শত শত যাত্রী ঘাটে অপেক্ষা করছে। এছাড়া ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরণের পরিবহন পারপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাটে অবস্থান করছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন।
তিনি জানান, আজকে ভোর থেকে দু’টি ফেরি চলাচল করেছে। কিন্তু সকাল ৮টার পর থেকে কোনো ফেরি পারাপার হতে দেওয়া হয়নি। কারণ, নদীর অবস্থা ভালো না। এ পরিস্থিতিতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে প্রচণ্ড ঢেউয়ে শিমুলিয়ার ২ নম্বর ঘাটের পন্টুনটি ছিঁড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, “সামনে কী পরিস্থিতি হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।”
শাহাদাত হোসেন জানান, এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিমুলিয়া ঘাট থেকে আপাতত কোনো প্রকার নৌ চলাচল করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া না পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যহত থাকবে।