প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি পদে (বেতন স্কেলের নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) নিয়োগে সব ধরনের কোটা তুলে দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে, কোটা সংস্কার সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দেন। পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম গ্রেডের (প্রথম শ্রেণী) ও ১০ম-১৩তম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা যেতে পারে।
কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও প্রভাব একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
এদিকে ৩০ ভাগ কোটা বহাল রাখাসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. সালেহ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।