ফাইজারের টিকার সঙ্গে মিশ্রণ করার উপাদান “ডাইলুয়েন্ট” না আসায় ফাইজারের টিকাদান শুরু হতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বুলেটিনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানান।
ফাইজারের টিকাকে সক্রিয় টিকায় রূপান্তর করতে একটি ডাইলুয়েন্টের প্রয়োজন হয় জানিয়ে অধ্যাপক ডা. নাজমুল জানান, “টিকার ডাইলুয়েন্ট আসার পর টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে। কোভ্যাক্স থেকে ডাইলুয়েন্ট আনা হচ্ছে। জুনে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ লাখ ডোজ পেয়েছিলাম যা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে, তবে মিশ্রণটি এখনও পাওয়া যায়নি এবং আমরা আশা করছি ৭ জুনের মধ্যে পেয়ে যাব।”
তিনি বলেন, এ টিকা কতজনকে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে, সেটি পরবর্তীতে জানিয়ে দেব। যেহেতু টিকার পরিমাণ অত্যন্ত কম, যারা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন, তাদেরকে আগে এ টিকা দেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা পদ্ধতি নিয়েও কাজ করছেন, যাতে কোনো রকেমর ভুল না ঘটে এবং ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট না হয়। আর পুরো এই প্রক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে এবং তারপরেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান এবং যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেন।