টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের দাবি, ধর্ষণের কারণে বর্তমানে ছাত্রীটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শুক্রবার (৪ জুন) এ ঘটনায় অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম কেরামত আলীকে (৬০) গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কেরামত আলী উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের গারোট্ট উত্তরপাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম। তার গ্রামের বাড়ি মধুপুর উপজেলার আইনাতকারী গ্রামে। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সুবাদে গ্রামে যাতায়াতের কারণে গ্রামবাসীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে দুই বছর আগে মসজিদ কমিটি তাকে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপশি মসজিদে মক্তব স্থাপন করে প্রতিদিন সকালে গ্রামের ছেলেমেয়েদের কোরআন শিক্ষা দিতো কেরামত আলী। ওই মক্তবে স্থানীয় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী কোরআন শিক্ষার জন্য যেতো। গত ১৫ দিন আগে হঠাৎ করেই কেরামত আলী মসজিদের ইমামতি ছেড়ে দিয়ে সকলের কাছে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে যান।
এদিকে, গত তিনদিন আগে ছাত্রীটির বাবা-মা সহ বাড়ির লোকজন মেয়ের শারীরিক অবস্থার অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। পরবর্তীতে মেয়েটি তার বাবা-মায়ের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে।
ওই ছাত্রী জানায়, পাঁচ মাস আগে মক্তবে কোরআন পড়া শেষ হলে অন্যরা বাড়ি চলে গেলেও কথা আছে বলে কেরামত আলী তাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে। পরে তিনি মুখ বেঁধে মসজিদের বারান্দায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে অনুরোধ করেন তিনি। এভাবে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কয়েকদিন ধর্ষণ করে তাকে।
গত শুক্রবার (৪ জুন) বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হবার পর ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে ইমাম কেরামত আলীকে অভিযুক্ত করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিন রাতেই কেরামতকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ওয়াহেদ আলী বলেন, এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে তার আচার আচরণে কখনো মনে হয়নি। আমরা তার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, অভিযুক্ত ইমাম কেরামত আলীকে গ্রেফতার করে শনিবার (৫ জুন) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।