সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় পূর্ব রাজাশন এলাকার সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয় হালদার ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে।
রবিবার (৬ জুন) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৬ মে রাতে সাভারের রাজাশনের পলুর মার্কেট এলাকায় জয় হালদারকে একা পেয়ে লোহার রড, পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কিশোর গ্যাং লিডার সওদাগর ও তার বাহিনী। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাং লিডার সওদাগর ও তার বাহিনী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে জয় হালদারের ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই সাভারের কমলাপুর রাজারবাগ গ্রামের আরিফ মিয়া, সাভারের রাজাশনের সাদ্দাম, মধ্য রাজাশনের তানভীর ও জয়, ভোলা জেলার ইলিশা উপজেলার তালুকদার হাট গ্রামের আকাশ ও সাভারের রাজারবাগ এলাকার কমলাপুর গ্রামের সওদাগরের নামে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান জানান, মামলা দায়ের দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসে। আমরা বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সাভারের বিভিন্ন এলাকা ঘিরে সক্রিয় কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরা ফেসবুকে গ্রুপ খুলে প্রচারণা, বাহারি পোশাক, মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়ার মাধ্যমে এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।