টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় স্ত্রীর করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় মিজানুর রহমান নামের এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ জুন) সকালে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মিজানুর ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। তিনি সখীপুর উপজেলার লাঙুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক।
এদিকে, মামলার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমানকে একমাত্র আসামী করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমির বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। পরে জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন। ২০১৭ সালে নিজের সন্তান জন্মের সময়ে অস্ত্রোপচারের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন মিজানুর। দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। কিন্তু চার মাস ধরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন মিজানুর।
এ সব ঘটনার জেরে কিছুদিন আগে মিজানুর তার স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাকের খবর পেয়ে বুধবার সকালে রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামীকে একমাত্র আসামি করে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে। তাকে সমিতি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক বলেন, স্ত্রীর করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মামলার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই আসামিকে গ্রেফতার এবং আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। যা অন্য কোনও থানায় এমন এমন রেকর্ড নেই। আমরাই এমন রেকর্ড করেছি।