কক্সবাজারের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফের বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কক্সবাজার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, " দুপুরে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। দুদকের একটি মামলায় হাজির হতে সাত মাস আগে তাকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ওসি প্রদীপ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।"
এর আগে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়।
আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর প্রদীপকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের করা মামলার তিনজন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ ছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।
মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উক্ত মামলায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।