বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুরপাল্লার বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় থাকা দুই মাসের নাতিসহ এক দম্পতি নিহত হয়েছেন। এসময় অটোচালকসহ আরও দুজন আহত হন।
শনিবার (১৯ জুন) সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাজারের উত্তরে হাতীবান্ধা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বগুড়া সদরের বারপুর মধ্যপাড়ার আশরাফ আলী (৫০), তার স্ত্রী পারুল বেগম (৪২) ও তাদের দুই মাস বয়সী নাতি রেজওয়ান ইসলাম।
দুর্ঘটনা কবলিত বাসেরও অন্তত ১৩ জন যাত্রী আহত হন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম এ তথ্য দেন।
দুর্ঘটনার পর অন্তত আধঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল আলিম ও স্থানীয়রা জানান, আশরাফ আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি এলাকায় ছেলে আরশেদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে তাদের নাতি রেজওয়ান ইসলাম শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। শিশুটিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার সকালে ওই দম্পতি নাতিকে নিয়ে একটি সিএনজি অটো রিকশায় জুমারবাড়ি থেকে বগুড়ার হাসপাতালের দিকে রওনা হন। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাজারের উত্তরে হাতীবান্ধা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছেন। এ সময় কুমিল্লা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আহসান এন্টারপ্রাইজের একটি বাস সেখানে পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেপরোয়া গতিতে আসা অটো রিকশাকে সামনে ধাক্কা দেয়।
এতে সিএনজি অটো রিকশা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই যাত্রী আশরাফ আলী ও তার স্ত্রী পারুল বেগম মারা যান। আহত
হন তাদের অসুস্থ নাতি রেজওয়ান, অটো চালক ও আরেক যাত্রী। এ সময় উল্টে যাওয়া বাসের অন্তত ১৩ জন যাত্রী আহত হন।
হাইওয়ে পুলিশ ও শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের মধ্যে গুরুতর ১০ জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। পথিমধ্যে শিশু রেজওয়ান মারা যায়।
হাইওয়ে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।