করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া “কঠোর লকডাউন” এর মধ্যেও পোশাক কারখানাসহ সকল রপ্তানিমুখী কারখানা চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন মালিক পক্ষ। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ দাবি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
পোশাক কারখানার মালিকরা বলছেন, কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে ইতোমধ্যে তারা যে অর্ডার গুলো পেয়েছেন তা বাতিল হয়ে যাবে এবং অর্ডারের চালানও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তারা আরও বলছেন, তাদের কর্মীরা শিফটে ভাগ হয়ে উপস্থিত হবে এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবে। এক্ষেত্রে কোনো স্বাস্থ্য ঝুকিঁ নেই। বরং কারখানা বন্ধ থাকলে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গেলে সেক্ষেত্রে গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকরা তাদের গ্রামে ছুটে যাবেন। যা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে। এ জন্য কারখানাগুলো অবশ্যই খোলা রাখতে হবে। পোশাক খাতে কাজের অর্ডার বাড়তে শুরু করেছে এবং কারখানাগুলো আবার বন্ধ হয়ে গেলে সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আর্ডার বাতিল হলে কারখানাগুলোকে শ্রমিকদের ঈদুল আজহায় মজুরি, বোনাস এবং অন্যান্য ভাতা প্রদানের জন্য এবং ব্যাংক ঋন শোধ করার জন্য লড়াই করতে হবে।”
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “লকডাউনে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পোশাক কারখানাগুলো খোলা থাকবে। যদি কারখানাগুলি আবার বন্ধ হয়, তবে গত বছরের মতো আবারও রপ্তানি কমবে। তৈরি হয়ে যাওয়া পণ্যগুলো যথাসময়ে পাঠানোর জন্যও ক্রেতাদের চাপ রয়েছে। আমাদের অর্ডার সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে অর্ডারগুলো আবার কমে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন কারখানা খোলা ছিল তখন কর্মীরা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করেছে। কিন্তু যদি তারা বন্ধ পায় সকলে গ্রামের দিকে ছুটবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুকিঁ তৈরি হবে।”
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যেও শিল্পকারখানা চালু ছিল। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সারা দেশে কঠোর লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। এ সময় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। শুক্রবার জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য বিভাগের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।