বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কঠোর লকডাউন চলাকালে মাদ্রাসা খোলা রাখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বগুড়ার অন্যান্য এলাকার মতো ধুনট উপজেলাতেও কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সকাল থেকে উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় “জিনিয়াস মডার্ণ মাদ্রাসা” খোলা রেখে পাঠদানের কাজ চলছিল। ওই বাজারের “মন্ডল স্টোরের” মালিক আশিকুর রহমান মানিক এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মহসিন আলী ও গোলাম মোস্তফার সাথে আশিকুর রহমান মানিকের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মানিকের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে আশিকুর রহমান মানিক (৩৫), মাদ্রাসা পরিচালক মহসিন আলম (৪২) ও গোলাম মোস্তফাসহ (৪৬) উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান মানিক অভিযোগ করে বলেন, “বিধিনিষেধ অমান্য করে মাদ্রাসায় পাঠদান করা হচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসার পরিচালক মহসিন ও অন্যরা আমাকে মারধর করে।” এ সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাংচুর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা পরিচালক মহসিন আলম বলেন, “পূর্ব বিরোধের জের ধরে আশিকুর রহমান মানিক ও তার লোকজন তাকে মারধর করেছেন। তার দোকানে হামলা করা হয়নি।”
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, বিধিনিষেধ চলাকালে মাদ্রাসা খোলা নিয়ে মালিকদের মাঝে মারামারি ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উভয়পক্ষের দুই থেকে তিন জন সামান্য আহত হয়েছেন। বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।