নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে ৪৯ জনের জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১ জনে।
দীর্ঘ সময়ের চেষ্টার পর শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর একটার পর কারখানার চতুর্থ তলা থেকে ৪৯ টি লাশ বের করেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভবনটির আগুন।
উদ্ধারকৃত লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরে যাওয়ায় ডিএনএ টেস্ট ছাড়া এসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ভবনটির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে আহত মোরসালিন (২৮) এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এবং অগ্নিকান্ডের শুরুতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়ে শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪) নামে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকার হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ৭ তলা ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুনে দগ্ধ ৮-১০ জনকে জনকে গতকালই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে , কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস উৎপাদনে ৭ তলা ভবন বিশিষ্ট কারখানায় প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করে। তবে বিকেল ৫ টায় ছুটি হয়ে যাওয়ায় সেখানে আড়াই হাজারের মত শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের অনেকে।