মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে “আপা” বলে ডাকায় তপন দাস নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজার বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তপন দাস বলেন, “ক্রেতার চাপ থাকায় লকডাউনের মধ্যেও দোকান খোলা রেখেছিলেন তিনি। দোকান খোলা রাখার অপরাধে ইউএনও ও দোকানে উপস্থিত ক্রেতাদের জরিমানা করেন।”
তিনি দাবি করেন, ঘটনার এক পর্যায়ে তিনি ইউএনও-এর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে স্যার না বলে আপা বললেই রুনা লায়লা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এবং “কেন আপা বললি” বলেই লাঠি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করতে থাকে পুলিশ।
এদিকে জরিমানা এবং মারধরের কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা।
তিনি বলেন, “আমাকে অনেকেই আপা এবং খালাম্মা বলে ডাকে। কিন্তু আপা ডাকার কারণে তাকে মারধর করা হয়নি।”
লকডাউন মেনে না চলার জন্য এবং দোকান খোলা রাখার অপরাধে তার থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং মারধর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রফিক জানান, ইউএনও-এর নির্দেশেই লাঠি দিয়ে আঘাত করেছি।