করোনাভাইরাসে খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে কোভিড শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিভাগে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। এছাড়া, কুষ্টিয়ায় ১০ জন, ঝিনাইদহ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা চারজন করে, মাগুরা ও মেহেরপুরে তিনজন করে এবং বাগেরহাট, নড়াইল ও সাতক্ষীরায় একজন করে মারা গেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৪০ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭৭২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৪৫৯ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ২৮২ জন। মারা গেছেন ৪৬৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৪০ জন।
এ সময়ে বাগেরহাটে নতুন শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। মোট শনাক্ত ৫ হাজার ১০৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৬ জন।
এ সময়ে সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় ৯২ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় মোট শনাক্ত ৪ হাজার ৭১৩ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪২২ জন।
যশোরে এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৯৮ জন। জেলায় মোট শনাক্ত সংখ্যা ১৬ হাজার ৫০৪ জন। মারা গেছেন ২৪৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৩ জন।
এ সময়ে নড়াইলে নতুন শনাক্ত হয়েছে ৪৩ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ৬২৪ জন। মারা গেছেন ৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩২ জন।
মাগুরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৬ জন শনাক্ত হন। মোট শনাক্ত সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৭ জন। মারা গেছেন ৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৫ জন।
ঝিনাইদহে এ সময়ে শনাক্ত হন ৯৪ জন। জেলায় মোট শনাক্ত দাঁড়ালো ৬ হাজার ৩৯ জনে। মারা গেছেন ১৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬১৯ জন।
এ সময়ে কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৭৩ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৭০ জন। মারা গেছেন ৩৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৩২৩ জন।
চুয়াডাঙ্গায় এ সময়ে শনাক্ত হন ১৩১ জন। জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৫ জন। মারা গেছেন ১৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৭৫ জন।
এ সময়ে মেহেরপুরে নতুন করে আক্রান্ত হন ৮৫ জন। জেলায় মোট কোভিড শনাক্ত ২ হাজার ৯০৩ জন। মারা গেছেন ৮৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৬ জন।