হাইতিতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। আহত হয়েছে আরো ৩৩৩ জন।
ইউএনবি'র বরাতে জানা গিয়েছে, হাইতির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধসে অন্তত ১৫ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে পোর্ট-দে-পাইক্সের শহরে নয়জন, গ্রোস মোর্নে পাঁচজন এবং সেন্ট-লুইস দু নর্ডে একজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটির পরবর্তী ঝাঁকুনির আশঙ্কায় কয়েক হাজার মানুষ ফাটল ধরা বাড়িঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছে।
হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানায়, হতাহত ও নিখোঁজদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে হাইতির সেনাবাহিনী।
শনিবার পোর্ট-দে-পাইক্স শহরের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১১ মাইল দূরে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মূল উৎপত্তি স্থল সমূদ্রের মাত্র ৭.২ মাইল গভীরে। মূল ভূমিকম্পের পরে আরও দু’টি ‘আফটার শক’ (ভূমিকম্প পরবর্তী মৃদুকম্পন) অনুভূত হলেও ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামির সতর্কতা ছিল না বলে জানিয়েছিল হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা।
এর আগে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সাত দশমিক এক মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় প্রায় তিন লাখ মানুষ জন প্রাণ হারিয়েছিল।