ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে ফেরি আসার সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছুটোছুটি করে ফেরিতে উঠতে যাওয়ার সময়ে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ধাওয়ায় তিন যাত্রী ফেরি থেকে নদীতে পড়ে যায়। পরে তারা সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। রবিবার (২৫ জুলাই) সকালে ভোলা ইলিশা ঘাটে কলমীলতা ফেরিতে এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু আবদুল্লাহ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “লকডাউনের মধ্যে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ ছিল। তাদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার এক পর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করলে যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিন জন নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।”
প্রসঙ্গত, কলমীলতা ফেরিটি ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুরের মজুচৌধুরী হাট ঘাটে যায়। সেখান থেকে যাত্রীরা লক্ষীপুর হয়ে ঢাকা, কুমিল্লা,নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিদেশেগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত কাউকে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ জালাল জানান, কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে আজ রবিবার ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাটে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ইলিশা ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের আমরা বুঝিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানোর জন্য চেষ্টা করছি।
নদীতে পড়ে যাওয়া তিন যাত্রীর মধ্যে একজন রুবেল হোসেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। দুই দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। আজকের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে তার চাকরিটা আর থাকবে না। তাই সে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো। কোষ্টগার্ডের ধাওয়া ও যাত্রীদের চাপে নদীতে পড়ে যাওয়ায় তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ভিজে গেছে।