প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য রজতজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) নৌ-শাখার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্লাটুন ইউনিট। বুধবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর ঘুরে শেষ হয় আইন অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে।
শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সাথে যুক্ত হওয়া উচিত। মেধা, মনন আর শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিএনসিসির বিকল্প নেই।”
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন চবি বিএনসিসি’র নৌ শাখার ক্যাডেট মাহবুব এ রহমান। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্যাডেটদের সম্মাননা দেওয়া হয় এবং রাতে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও ছিল স্মৃতিচারণ ও প্রীতিভোজের আয়োজন।
উল্লেখ্য, চবি বিএনসিসি’র নৌ শাখা যাত্রা শুরু করে ১৯৯৩ সালে।
অনুষ্ঠানটিতে বিএনসিসি নৌ শাখার আন্ডার অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার, চবি বিএনসিসি’র সমন্বয় কর্মকর্তা লে. কর্নেল অধ্যাপক ড. এম শফিকুল আলম, চবি বিএনসিসি’র নৌ শাখার প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন ‘এংকর সিইউ’-এর সভাপতি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এবং রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সম্পাদক ও ‘এংকর সিইউ’-এর সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা।
প্রসঙ্গত, বিএনসিসি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই সেনা, নৌ ও বিমান তিনটি ভিন্ন উইংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয় ক্যাডেটদের কার্যক্রম। বর্তমানে সেনা উইংয়ের অধীনে পাঁচটি রেজিমেন্ট, নৌ-উইংয়ের অধীনে তিনটি ফ্লোটিলা এবং এয়ার উইংয়ের অধীনে তিনটি এয়ার স্কোয়াড্রন কাজ করছে দেশে। দেশের ৫২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লাটুন আছে মোট ৬৫১টি।