কক্সবাজারের উখিয়া ও পার্শ্ববর্তী পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে বন্যার পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে সকালে ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জন ও মহেশখালীতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৮জুলাই) উখিয়া ও ঘুমধুমের বিভিন্ন স্থানে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে আবদুর রহমান (৪৫) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হলে পালংখালী ইউনিয়নের চুয়াখোলা খাল পারাপার করতে গিয়ে এ যুবক নিখোঁজ ছিল।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, উখিয়ার মাছকারিয়া খালে আলী আকবর (৪০) নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উক্ত খালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত আলী আকবর উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধইল্যাঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
একই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানিয়েছেন, উখিয়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার সকালে উখিয়া উপজেলার দুছরী খাল সাঁতরে পার হওয়ার সময় মালিয়ারকুল এলাকার মোঃ ইসলামের ছেলে মোঃ রুবেল (২২) নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার কোটবাজারের পাশে রুমখা কুলাল পাড়া (কোয়ার পাড়া) এলাকায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, কক্সবাজার জেলার পার্শ্ববর্তী পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার ঢলের সময় নদী পারাপার করতে গিয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের শীলপাড়া গ্রামের সুবাস বড়-য়ার ছেলে আশীষ বড়–য়া (১৬) পানিতে ভেসে মারা যায়। একইদিন আবদুর রহিম (২৮) নামের এক রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।