পুলিশ কনস্টেবল পদে ৩৯ বছর চাকরি করেছেন আব্দুল বাকি মিয়া ও সোলাইমান হোসেন। চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পাননি তারা। সোমবার (২ আগস্ট) তারা দুজনেই অবসরে গেলেন। আর তাইতো চাকরিজীবনের পরিসমাপ্তির দিনে ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনা ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তারা। এ সময় তাদের হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন সহকর্মীরা।
আব্দুল বাকি মিয়া রাজবাড়ী থানায় আর সোলাইমান হোসেন বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন।
তাদেরকে শুধুমাত্র অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই নয় নিজ নিজ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ব্যবহৃত গাড়ি বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজিয়ে ওই গাড়িতে পৌছে দেয়া হয়েছে নিজ নিজ বাড়িতে। অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন ও বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ উভয় থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমন আয়োজনে অভিভূত হয়েছেন বিদায়ী দুই পুলিশ কনস্টেবল। দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে তাদেরকে এভাবে সম্মানিত করায় তারা রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান ও নিজ নিজ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে আগামীতেও যে সব পুলিশ কনষ্টেবল অবসর নেবেন তাদের প্রতিও এমন সম্মান দেখানোর কথা বলেছেন।
সোলাইমান হোসেন বলেন, “ফুলে সজ্জিত ওসি স্যারের গাড়িটি যখন গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়, তখন অনেক লোক ছুটে আসে। পুলিশের গাড়ি দেখে গ্রামবাসী প্রথমে চমকে যায়। এরপর গ্রামবাসী সংবর্ধনার বিষয়টি জেনে খুব খুশি হয়। চাকরিজীবন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়া নিঃসন্দেহে অনেক আনন্দের।”
এদিকে বেলুন ও ফুলে সুসজ্জিত ওসির গাড়ি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার মাদবপুর গ্রামে সোলাইমান এর বাড়ি পৌছালে উৎসুক জনতার ভীড় লেগে যায়। গ্রামবাসীও এমন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশেই এ আয়োজন করা হয়েছে। তাদের কর্তব্যপরায়ণ দীর্ঘ চাকুরী জীবনের শেষ দিনটা স্বরণীয় রাখতে এ আয়োজন।