বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে ৮টার দিকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে গঙ্গামতির শেষ পয়েন্ট সংলগ্ন সৈকতে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের মৃত ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। পরে তারা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের খবর দেন।
কুয়াকাটা সৈকতে এর আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন ও তিমি ভেসে এসেছিল। গত ৭ আগস্ট একটি ডলফিন ও তার একদিন পরে ৯ আগস্ট দুটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল এই সৈকতে।
স্থানীয় জেলে সিদ্দিক হোসেন জানান, মাছটির গায়ে হালকা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাতে মাছটির মৃত্যু হয়েছে। ডলফিনটির পাশে একটি রাজ কাঁকড়ারও মৃতদেহ দেখা গেছে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কেএম বাচ্চু জানান, সৈকতে জোয়ারের সঙ্গে মৃত ডলফিন ও কাঁকড়াটি ভেসে এসেছে। ডলফিনটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা। এর আগেও বিভিন্ন ধরনের একাধিক ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে। আজকের ডলফিনটিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা সমিতির সম্পাদক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে মৃত ডলফিন ভেসে আসার ঘটনা আজকে নতুন না। এখন অতি দ্রুত জেলেদেরকে শতভাগ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডলফিন সম্পর্কে অবগত করা প্রয়োজন। এতে কিছুটা হলেও ডলফিনের মৃত্যু কমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, আজ সৈকতে যে ডলফিনটি ভেসে এসেছে সেটি ইরাবতি ডলফিন। ডলফিনগুলো মারা যাওয়ার সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে এই ধরনের ডলফিনগুলো মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। তাই বেশিরভাগ সময় জেলেদের মাছ ধরার জালে আটকে মারা যেতে পারে। অনেক সময় বয়সের কারণেও ওদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে ওরা জোয়ারের কারণে তীরে ভেসে আসে।
তিনি আরও জানান, যে কাঁকড়াটি পাওয়া গেছে সেটি রাজ কাঁকড়া। এরা মূলত প্রজননের জন্য তীরবর্তী এলাকায় চলে আসে। তখন মারা গেলে সৈকতের তীরে ভেসে আসে।