ভোলা থেকে গোপালগঞ্জে এসে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন পুলিশ সদস্য রিয়াজুল ইসলাম। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ওই ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার কাছে আইনগত সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। রিয়াজুল বর্তমানে ভোলা জেলা নৌ পুলিশে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি গোপালগঞ্জে চাকরি করতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী বলেন, “গোপালগঞ্জে চাকরিকালীন রিয়াজুল আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি উভয়কে সর্তক করি। এছাড়া আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমেও এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করি। এরপরও তারা অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যান। আমার স্ত্রী সব সময় এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছিলেন। স্ত্রী আমাকে প্রলোভন দেখিয়ে পৈতৃকসূত্রে পাওয়া আমার একটি মূল্যবান জমি তার নামে দানপত্র দলিল করিয়েও নেন। এ ছাড়া আমাদের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে একই মহল্লায় আলাদা বাসা ভাড়া নিতে আমাকে বাধ্য করেন।”
তিনি আরও বলেন, “স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরতে ব্যবসায়িক কাজে খুলনায় যাওয়ার কথা বলি। এ সময় আমাদের ভাড়ার বাসা ফাঁকা পেয়ে আমার স্ত্রী ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওই বাসায় রাত্রি যাপন করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করার পর আমি বাসায় গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরি। এরপর গোপালগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং থানার হেফাজতে রাখেন।”
পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে রিয়াজুলকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানার হেফাজতে নিয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল বালা বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।