Saturday, March 22, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা

কোভিডে মৃতদের দাফন ও সৎকারের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১২:২৮ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে কোভিডে মৃতদের দাফন ও সৎকারের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ওই ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী ১৬ মে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন।

অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ জানান, আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলাটি এখন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

আদালত ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ভুক্তভোগী নারী বাংলাদেশের একটি বৃহত্তর ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য। ২০২০ সালের ২ আগস্ট পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে ওই নারীকে কাজী দিয়ে বিয়ে করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। পরে বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও নিতে থাকেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক  তৈরি হওয়ার এক পর্যায় বিষয়টি বাইরে জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর সাথে খোরশেদের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

পরবর্তীতে গত ২৪ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এরপর ১৬ মে ওই নারী তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 

তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগ করে কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

এদিকে ২৫ আগস্ট বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেছেন ওই নারী। ওই নারীর অভিযোগ, “কাবিননামা ছাড়া তার সাথে আমার যে সম্পর্ক ছিল এর সকল প্রমাণ আমার কাছে আছে। এমনকি আমরা বেশ কয়েকমাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবেও ছিলাম। এর সুবাদে আমার কাছ থেকে সে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা নিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে সে আমাকে স্ত্রী হিসেবেও মানছে না উল্টো আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আমি এর বিচার চাই।”

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, “আগামী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না বাকিটা  সময়ই বলে দিবে।”

   

About

Popular Links

x