আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৭ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে কোভিড আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা গ্রামে বেশি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। কারণ গ্রামের লোকরা টিকা কম পেয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব লোকের মৃত্যু প্রায় ৯০ শতাংশ। আমরা তাদেরকে টিকা আগে দেবো।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে নব গঠিত জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবাইকে ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, “আগে মুরুব্বীদেরকে টিকা দিতে হবে। তাদেরকে সুরক্ষিত করতে হবে। তারপর আমরা পর্যায়ক্রমে সবাইকেই টিকা দেব। ইতিমধ্যে আমরা পৌনে দুই কোটি ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন যত টাকাই লাগুক পর্যায়ক্রমে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে এই কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, “কোভিড পরীক্ষার জন্য ১টি ল্যাব দিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশে এখন ৭৫০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া দেশে এখন ১১০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। অক্সিজেনের অভাবে শত শত মানুষ মারা গছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া উন্নত রাষ্ট্র গুলোতেও করোনাভাইরাস মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ কোন প্রভাব পড়েনি। অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।”