প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের আগস্ট মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী “কোভিড সহনশীল” আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ৫৩টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে চার ধাপ এগিয়ে ৪৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, টিকাদানের পরিসর, মৃত্যুহারসহ মোট ১২টি সূচকের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক এ র্যাংকিং প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ।
যদিও এ র্যাংকিং অনুসারে গত বছরের নভেম্বরে ২৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এর পরের মাসে চার ধাপ এগিয়ে শীর্ষ ২০-এ উঠে আসে। ওই সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলার এ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলো তো বটেই এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরবকেও পেছনে ফেলেছিল।
এরপর করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মুখে পিছিয়ে পড়তে থাকে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে চলতি বছরের মার্চে ২৮তম, এপ্রিলে ৪১তম, মে মাসে একধাপ এগিয়ে ৪০তম, জুনে ছয় ধাপ পিছিয়ে ৪৬তম ও জুলাইয়ে আরও দুই ধাপ পিছিয়ে ৪৮তম অবস্থানে চলে যায়। সংক্রমণের গতি কমে আসতেই র্যাংকিংয়ে ফের এগিয়েছে। করোনাভাইরাস সহনশীলতার সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৪ দশমিক ৫।
বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, দিন দিন দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার লক্ষণীয়ভাবে কমছে।
র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। একলাফে ২৬ ধাপ নেমে তারা পৌঁছেছে ২৯তম স্থানে। ১৯ ধাপ নিচে নেমেছে ইসরায়েল। তাদের অবস্থান ৩৬তম। আগস্ট মাসের র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে ভারত-পাকিস্তানেরও। দুই ধাপ করে এগিয়ে তাদের অবস্থান যথাক্রমে ৪২তম ও ৪৩তম। এক্ষেত্রে ভারতের সংগ্রহ ৫৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট ও পাকিস্তানের ৫৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, ৮০ দশমিক ১ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার শীর্ষে নরওয়ে। ৪২ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে তলানিতে মালয়েশিয়া। সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় ২০ ধাপ নিচে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অবস্থান এখন ২৫তম।
