সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরসহ দেশের প্রধান তিনটি বিমানবন্দরে শিগগিরই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করার পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি করেছে আটকে পড়া প্রবাসীরা।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান পরিষদ (বিপিকেপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আটকে পড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা জানান, দ্রুত ল্যাব স্থাপন করা না হলে তারা বিপাকে পড়বেন। একই সঙ্গে আরব আমিরাতের শ্রম বাজারও সংকটে পড়বে।
এ সময় কয়েকজন প্রবাসী জানান, দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য আরব আমিরাতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ রয়েছে। এখন আটকে পড়া প্রবাসীরা যদি যথাসময়ে ফিরতে না পারে তাহলে তাদের কর্মস্থল দখল করে ফেলবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা।
সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর ছাড়াও ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলে এ সংকট কিছুটা কাটবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান আহমেদ রিয়াজ বলেন, ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের ওপর থেকে সবধরণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এমন অবস্থা দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপন করলে আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সুযোগ পাবো।”
অন্যথায়, আটকে পড়া হাজার হাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী চাকরি হারা, ভিসা হারা হয়ে চরম বিপদের মুখে পড়বেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের পর এক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলাতে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে। এমনকি এসব দেশের প্রবাসীরা ও ভিসাধারীরা এরই মধ্যে আরব আমিরাতে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু পিসিআর ল্যাব না থাকায় বাংলাদেশিরা আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীরা, আটকে পড়া সকল প্রবাসীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মস্থলে ফির যাওয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।