গাজীপুর সদর উপজেলার পাইনশাইল এলাকায় লবন্দহ খালে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তিন কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আরও এক কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ তাশারুফ হোসাইন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, দুপুরে ওই চার কিশোরী পাইনশাইল এলাকার বিলে বর্ষার পানিতে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে চারজন পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে একজনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা তিন কিশোরী হলো পানিশাইল গ্রামের সোলাইমান হোসেনের মেয়ে স্থানীয় জমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিচি আক্তার (১৫), একই গ্রামের হায়েত আলীর মেয়ে স্থানীয় গাছ পুকুরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আইরিন আক্তার (১৪)। মঞ্জুর হোসেনের মেয়ে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মায়া আক্তার (১৪)। সোলাইমান হোসেনের মেয়ে রিয়া আক্তার (১০) এখনো নিখোঁজ আছে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ তাশারুফ হোসাইন জানান, লবন্দহ খালে পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই সেখানে আশপাশের শিশু-কিশোরেরা গোসল করতে নামে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিচি, রিয়া, আইরিন ও মায়াসহ ৫-৬ জন কিশোরী গোসল করতে নামে। এ সময়ে তারা চারজন হঠাৎ খালের স্রোতে পড়ে যায়। অন্যরা তাদের দেখতে না পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তাদের মধ্য থেকে দু’জন পাড়ে উঠতে পারলেও চারজন পানিতে ডুবে যায়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করতে না পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। রিয়া আক্তার এখনও নিখোঁজ আছে।
জযদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, “বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশু রিয়ার সন্ধানে ডুবরিদলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল জাকী, স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মান্নান ও জয়দেবপুর থানা-পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন।