মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি আঁকা হয়েছিল। সেই ছবি কালো রং দিয়ে বিকৃতি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার রায়দক্ষিণ কোহিনুর মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তারিকুর রহমান চৌধুরী (উইলটন) উপজেলার জয়মন্টব ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ কহিনুর মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সড়ক পরিবহন ওসেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি অংকন করেন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে দূর্বৃত্তরা কালো রং দিয়ে ওই ছবিগুলো বিকৃতি করে এবং ছবির নিচে অশালীন বাক্য লিখে দেয়। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুনা লায়লা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন। এ সময় তারা এই কাজের নিন্দা প্রকাশ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তারিকুর রহমান চৌধুরী (উইলটন) বলেন, “আমি মাদকব্যবসা ও মাদকসেবীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলাম। এই চক্রটি আমার ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। তারা স্বাধীনতাবিরোধীচক্রের সাথে মিলে এই কাজ কাজ করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান বলেন, “ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরে চিত্র করা হয়েছিল। শনিবার ভোরের দিকে স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন প্রতিটি দেয়ালচিত্রে কালো রং দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। সেই সাথে অশালীন বাক্য লিখে রেখেছে। এই ঘটনায় মামলা করেছি। এখন তদন্ত করে দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি।”
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রবিবার রাতে মামলা করেছেন জয়মন্টব ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।