পাত্র সেজে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত অনুপ পোদ্দার। তারপর পর্নোগ্রাফি থেকে ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আত্মসাৎ করত সে। এভাবে প্রায় দুই শতাধিক নারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে অনুপ।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪ সাইবার সেলের একটি দল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন এলিফেন্ট রোড থেকে অনুপ পোদ্দার ওরফে মনির খান ওরফে হারুন (৪১) নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত অনুপ পোদ্দারের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অনুপ পোদ্দার বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুসলিম ও বিপত্নীক সেজে, নকল নাম-ঠিকানা ও ছবি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলে পাত্র-পাত্রী খোঁজার বিভিন্ন গ্রুপ ও সাইট থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন নারীদের বটার্গেট করতো।
র্যাব আরও জানায়, এসব নারীদের সঙ্গে বিয়ের কথা বার্তা বলতে বলতে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তাদের গোপনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করতো অভিযুক্ত অনুপ। তারপরই ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করত সে। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীদের সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলে দেখা করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবও দিত সে। রাজি না হলে তাদের আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিত অনুপ।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ভুক্তভোগী নারীদের ওইসব ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার কথা জানিয়েছে অনুপ। তার কাছে দুই শতাধিক নারীর ছবি, ভিডিও সম্বলিত একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।