ঢকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজিরা দেন। এ সময় হাইকোর্ট পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ উল্লেখ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দেওয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়।
হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালত বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বাস করেন না যে ত্রুটি হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে বিচারকদের লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি মামলা করে র্যাব। এ সময় পরীমণিকে মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি।
গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিচারকদের এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফাকে নিজেদের অবস্থান ও কারণ ব্যাখ্যা করে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, দুই ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশে ত্রুটি–বিচ্যুতির কারণ হিসেবে অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবং অনিচ্ছাকৃত ও সরল বিশ্বাসে করা এই ত্রুটিকে মার্জনা করে অধিক ব্যাখ্যার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তারা।