ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা একটি পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ৬০ বছরেরও বেশি পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছটি ছিল ঢাবি প্রক্টরের কার্যালয়ের ঠিক পাশেই কলা ভবনের পূর্বদিকে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃক্ষপ্রেমীরা গাছ কাটার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. নুরুল হক বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাতারাতি গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ আবারও প্রমাণ করল তারা অগণতান্ত্রিক।”
কিন্তু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, যে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বেশ কিছু বার চেষ্টা করার পরে গাছটি কাটা গেছে। গাছটি পথচারীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, তাই তারা সেটিকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষবিদ্যা কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করেই গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
বৃক্ষবিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, “গাছটির শিকড় মাটি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়াও এটি কাত হয়ে গিয়েছিল, যেকোনো সময় গাছটি পড়ে যেত, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত।”
তবে, অধ্যাপক মিহির লাল সাহা নিশ্চিত করেছেন যে, কোনো নির্মাণকাজের জন্য গাছটি কাটা হয়নি।