কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরও ৯৯% মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি রয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাসের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ গ্রহণকারী প্রায় ৬২% মানুষের অ্যান্টিবডি রয়েছে। এছাড়াও, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধেক মানুষ যারা টিকা নেননি তাদের শরীরেও প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
কেবল একটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের শরীরে, যারা টিকা নেননি তাদের তুলনায় তিনগুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন যারা, তাদের শরীরে যারা টিকা নেননি তাদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
পরিসংখ্যান দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিন ছাড়া মানবদেহ স্বাভাবিকভাবেই ৫৩.৭১ ইউনিট ডিইউ (DU / ml) অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ভ্যাকসিনের এক ডোজ নেওয়ার পর ১৫৯.০৮ ইউনিট এবং ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পর ২৫৫.৪৬ ইউনিট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
গবেষকদের মতে, মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, রোগী, রোগী সহকারী, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং গার্মেন্টস কর্মীসহ মোট ৭৪৬ জনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
তাদের মধ্যে ২২৩ জন প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন এবং ২৩১ জন ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ পেয়েছিলেন। বাকি ২৯২ জন কোনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, একজন ব্যক্তি কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর প্রথম মাসের তুলনায় অ্যান্টিবডি তৈরির পরিমাণ দ্বিতীয় মাসে ২৫% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের দুই মাস পর উৎপাদিত অ্যান্টিবডির পরিমাণ চতুর্থ মাসে ২১% হ্রাস পায়। আবার চতুর্থ মাসের তুলনায় ষষ্ঠ মাসে অ্যান্টিবডি উৎপাদন কমে ৩.৪% হয়েছে।
গবেষক দলে ছিলেন, অধ্যাপক ডা. শারমিন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, ডা. জাহান আরা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাস, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব, ডা. তাজরিনা রহমান এবং ডা. সীমান্ত দাস।