কক্সবাজারের জিন্নাত আলী (২২) বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে পরিচিত। ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার আলীর শরীর ১১ বছর আগে হঠাৎ করেই বেড়ে উঠতে শুরু করে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে হয়তো তিনি একদিন ৮ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষকেও ছাড়িয়ে যাবেন।
তবে, তার এই অতিরিক্ত উচ্চতা অবশ্য তার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দেয়নি। কারণ, জিন্নাত আলীর এই অতিরিক্ত উচ্চতার কারণ শারীরিক জটিলতা। জিন্নাত আলীর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসা করানো অসম্ভব। এদিকে অতিরিক্ত লম্বা হবার কারণে ঘর থেকে তেমন একটা বেরও হতে পারেন না জিন্নাত আলী। ফলে তার জীবন এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়ে। অনেকেই তাকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিলেও কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। ফলে হরমোন ঘটিত জটিলতায় আক্রান্ত জিন্নাত আলীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে তার অক্ষম পিতা আমির হামজা সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে সহযোগিতার জন্য ঘুরছেন।
তবে, অবশেষে শেষ হতে চলেছে জিন্নাত আলীর দুর্দশাময় দিনের। তার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইমুর সরওয়ার কমল জিন্নাত আলীকে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করাতে নিয়ে আসেন।তিনি আসতেই তাকে দেখতে ভীড় জমে যায়। এমনকি তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন সংসদ সদস্যরাও।
এরপর প্রধানমন্ত্রী জিন্নাতের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী জিন্নাতের চিকিৎসার ভার নিয়েছেন। তিনি বিনামূল্যে জিন্নাতকে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।"
উল্লেখ্য, গত মাসে ঢাকা ট্রিবিউনে জিন্নাত আলীর দুর্দশা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়।
জিন্নাত আলী বর্তমানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।