ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “ক” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এতে মোট ১০ হাজার ৩শ ৪৮ জন পরীক্ষার্থী “ক” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে অপেক্ষা করছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা ছাড়া আর কাউকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথের পাশেও অবস্থান করতে দেয়া হয়নি। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে তল্লাশি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ঘড়িসহ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সামগ্রী নিয়ে হলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রবেশপথে ছিল মেটাল ডিটেকটর। এছাড়াও প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও নগরীর আরও চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে কারমাইকেল কলিজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং রংপুর সরকারি কলেজ। রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নিতে ঢাবির পক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে পুরো পরীক্ষার সমন্বয় করছে।
ঢাবি প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী শুক্রবার (১ অক্টোবর) “ক” ইউনিট, ২ অক্টোবর “খ” ইউনিট, ৯ অক্টোবর “চ” ইউনিট, ২২ অক্টোবর “গ” ইউনিট এবং ২৩ অক্টোবর “ঘ” ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে।
এ বিভাগে মোট ৩১ হাজার ৩০৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে “খ” ইউনিটে ৬ হাজার ৬১১ জন, “চ” ইউনিটে ১ হাজার ৯৬৫ জন, “গ” ইউনিটে ১ হাজার ৩৬২ জন এবং “ঘ” ইউনিটে ১১ হাজার ২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
এদিকে ঢাবি প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ সর্ব সাধারণের প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আসা ভর্তিচ্ছু মনিরা তাবাস্সুম বলেন, “ভোরবেলা কুড়িগ্রাম থেকে বাবা মায়ের সাথে পরীক্ষায় অংশ নেবার জন্য রওনা দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছাই সকাল সাড়ে আটটায়। আশা করি সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে পারব।”