সিরাজগঞ্জের সদরে উপজেলায় যমুনার তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই মুমূর্ষু নারীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধের দক্ষিণে রাসেল স্মৃতি পার্ক সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ওই দুই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। তাদের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের বেড ও শরীর হাসপাতালের বিছানার চাদরে ঢাকা ছিল।
দুই নারীর একজন বৃদ্ধা। তার কপালে ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের চিহ্ন রয়েছে। অপরজন মধ্যবয়সী। চুল ছোট করে ছাটা। দুজনের কথা অস্পষ্ট। মাঝেমধ্যে কথা বলতে পারলেও তা বোঝা কষ্টসাধ্য। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুজনের শরীরে উদ্ভট গন্ধ থাকায় দূর থেকেই দেখছেন শত শত দর্শণার্থী। গতকাল সন্ধ্যার পরও মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে শত শত লোকজন অসহায় দুই নারীকে দেখতে যান।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. কাজি মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, নিন্দনীয় এবং অমানবিক। এভাবে কেন ফেলে রাখা হবে। বিষয়টি জানার পর খোঁজ-খবর নিচ্ছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের আড়াই শয্যা বিশিষ্ট সরকারি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমি এ মুহুর্তে হাসপাতালের বাইরে আছি।’
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের রোগী ছিল কিনা, বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। না দেখে বলা যাবে না। তবে, ওদের উদ্ধারের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোবাইলে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আসতে দেরি হওয়ায় আমরাই ভ্যানে করে দুজনকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গ্রামে কড্ডা-মিরপুর আঞ্চলিক সড়কের একটি ডাস্টবিনের পাশে ওই দুই নারীর একজনকে অসুস্থ্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমরা নিজ উদ্যোগে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আসি। ওই সময় আমরা হাসপাতালে আরেকজন মধ্যবয়সী অজ্ঞাত নারী রোগীকে দেখতে পাই। হঠাৎ আজ এভাবে ওই দুজনকে নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে আমরাও হতবাক হয়েছি।’