রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেও ভ্রমণ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় বুধবার (৬ অক্টোবর) রেলস্টেশন এলাকায়জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নগর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যাত্রীদের অভিযোগ, তারা ৩০০ টাকার টিকিট ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও ট্রেন ভ্রমণ করতে পারেননি তারা।
কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বুধবার বিকেলে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন “কেন তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো”।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বারণ চন্দ্র বর্মন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকার মুগদা থেকে আসা মুরাদ হোসেন নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষার্থী জানান, তিনি দুপুরের দিকে ৯০০ টাকা দিয়ে পদ্মা এক্সপ্রেসের একটি টিকিট কেটেছেন। ট্রেন আসার পর টিকেট অনুযায়ী ট্রেনে প্রবেশ করেন। কিন্তু টিটি আসার পর তাকেসহ আরও অনেক যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। কেন তাদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে বারবার জানতে চেয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেল স্টেশন মাস্টার আব্দুল মালেক জানান, এক সপ্তাহ আগেই অনলাইন ও টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে, ভ্রাম্যমাণ টিটি কিছু স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করে যার ফলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, ভ্রমাম্যান টিটিরা টিকিট ছাড়া কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করেন এবং টিকিট ছাড়া ভ্রমণকারীদের জমিমানাসহ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেন। কিন্তু স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়ারও লিমিট আছে।
তিনি আরও জানান, আজকে ভ্রাম্যমাণ টিটিরা কার অনুমতিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করেছে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে। তবে আপতত অতিরিক্ত ১০০ থেকে ১৫০ মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউটার ট্রেনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঈশ্বরদী পর্যন্ত যাবে। পরে ঈশ্বরদী থেকে খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।