বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বাস্তবায়নে অভিযানে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন।
আগে থেকেই বিজ্ঞাপনযুক্ত এসব চ্যানেলে দেশে সম্প্রচার বন্ধ করার কথা বলা হলেও সম্প্রতি এ বিষয়ে কঠোর হয় সরকার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, যেসব চ্যানেলে ক্লিন ফিড আসার পরও যারা (ক্যাবল অপারেটর) তা সম্প্রচার করছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মোবাইল কোর্ট। এছাড়া ক্যাবল অপারেটররা নিয়মনীতি মানছে কি না- তাও খতিয়ে দেখবে।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চ্যানেল বন্ধ করতে গিয়ে ক্লিন ফিডের চ্যানেলগুলোও বন্ধ হয়ে যায়।
পরে গত ৫ অক্টোবর সব চ্যানেল বন্ধ না রেখে বিজ্ঞাপনবিহীন (ক্লিন ফিড) বিদেশি টিভি চ্যানেলে বা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নির্দেশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের একটি চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড ছাড়া কোনো বিদেশি টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোনো কোনো বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড থাকা সত্ত্বেও গত ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। যা কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর পরিপন্থী।
