কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, “মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এ ঘটনা প্রত্যাবাসনকে ব্যাহত করতে পারবে না।”
শনিবার (৯ অক্টোবর) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ঢাকায় যাওয়ার পথে বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, “আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলেছি অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত মুহিবুল্লার পরিবারের সঙ্গেও। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ক্যাম্পে কোনো ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্যও বিভিন্ন বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। ভাসানচর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ যুক্ত হয়েছে। আস্তে আস্তে সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকছে।”
দেশীয় গণমাধ্যম ক্যাম্পে প্রবেশে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, “এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শনিবার দুপুরে দুইদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রতিনিধি দলটি মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনাস্থল কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও আছেন, পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, পররাষ্ট্র সচিবের দফতরের মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার।