অস্ট্রেলিয়ার সুস্বাদু পেপিনো মেলনের চাষ হচ্ছে খুলনায়
ফলটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। বিদেশি জাতের হলেও এটি আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী
নিজের জমিতে চাষ করা পেপিনো মেলন নিয়ে কৃষক রফিকুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউন
মো. হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৫৭ পিএমআপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:২৬ পিএম
পেপিনো মেলন অস্ট্রেলিয়ার একটি পুষ্টিকর ফল। তবে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি এখন এ ফলের চাষ হচ্ছে খুলনার ডুমুরিয়ায়ও। উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম ৩০টি গাছের কাটিং লাগিয়ে পুষ্টিকর এ বিদেশি ফলের প্রাথমিক চাষাবাদ শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে খুলনার লবণাক্ত এলাকায় কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তিনি নতুন ফল উৎপাদনে আগ্রহী ছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে নীলফামারী জেলার বাসিন্দা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেলিমের কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে ৩০টি পেপিনো মেলন ফল গাছের কাটিং এনে চার মাস আগে সেগুলো রোপণ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে গাছগুলো বাঁচানোর জন্য দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি মাটিতে ও টবে এ গাছ লাগান। প্রতিটি গাছ বেঁচে আছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে গাছগুলোতে ব্যাপক হারে ফল ধরতে শুরু করেছে। লতার মতো গাছ বাড়ছে। তাই মাচা বসানো হয়েছে। একেকটি ফলের ওজন ২০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুষ্টিসমৃদ্ধ এ ধরনের ফল উৎপাদন করে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোচ্ছাদেক হোসেন বলেন, “পেপিনো মেলন বিদেশি ফল হলেও এটি আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষক রফিকুল ইসলাম প্রথমবারের মতো এটির চাষাবাদ করেছেন। এ ফল খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এখন পর্যন্ত অবস্থা ভালো এবং ফল গাছের কাটিং করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।”
এছাড়া, দেশে এ ফলের চাষাবাদ কম হলেও কাটিং পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সুস্বাদু পেপিনো মেলনের চাষ হচ্ছে খুলনায়
ফলটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। বিদেশি জাতের হলেও এটি আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী
পেপিনো মেলন অস্ট্রেলিয়ার একটি পুষ্টিকর ফল। তবে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি এখন এ ফলের চাষ হচ্ছে খুলনার ডুমুরিয়ায়ও। উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম ৩০টি গাছের কাটিং লাগিয়ে পুষ্টিকর এ বিদেশি ফলের প্রাথমিক চাষাবাদ শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে খুলনার লবণাক্ত এলাকায় কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তিনি নতুন ফল উৎপাদনে আগ্রহী ছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে নীলফামারী জেলার বাসিন্দা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেলিমের কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে ৩০টি পেপিনো মেলন ফল গাছের কাটিং এনে চার মাস আগে সেগুলো রোপণ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে গাছগুলো বাঁচানোর জন্য দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি মাটিতে ও টবে এ গাছ লাগান। প্রতিটি গাছ বেঁচে আছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে গাছগুলোতে ব্যাপক হারে ফল ধরতে শুরু করেছে। লতার মতো গাছ বাড়ছে। তাই মাচা বসানো হয়েছে। একেকটি ফলের ওজন ২০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুষ্টিসমৃদ্ধ এ ধরনের ফল উৎপাদন করে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোচ্ছাদেক হোসেন বলেন, “পেপিনো মেলন বিদেশি ফল হলেও এটি আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষক রফিকুল ইসলাম প্রথমবারের মতো এটির চাষাবাদ করেছেন। এ ফল খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এখন পর্যন্ত অবস্থা ভালো এবং ফল গাছের কাটিং করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।”
এছাড়া, দেশে এ ফলের চাষাবাদ কম হলেও কাটিং পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটানো সম্ভব বলে জানান তিনি।