এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে যান
রাশেদুল হাসান কাজল, রাজবাড়ী
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৯ পিএমআপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫১ পিএম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে জুতাপেটা এবং চুল ধরে টানাটানিসহ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমানের কাছে ছুটি চান সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন। প্রধান শিক্ষক তাকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্কুল করে ছুটি নিতে বললে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় নাসিমা খাতুনকে গালিগালাজ করেন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন পায়ে থেকে জুতা খুলে মাহবুবুর রহমানের দিকে এগিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকও তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে নাসিমা খাতুন প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করেন।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলসহ স্থানীয় শিক্ষক নেতারা ঘটনাস্থলে যান। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন প্রধান শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমান। এরপর থেকেই তার আচরণে পরিবর্তন আসে। প্রায়ই সহকর্মীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, “আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যে যা ঘটেছে, তা আমরা নিজেরাই মিমাংসা করে নেবো।”
পাটকিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তারপর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে এ ধরনের আচরণ করেন। শনিবারেও সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আপস করে নিতে বলেছি।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল হক বলেন, “আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। রবিবার (৯ জানুয়ারি) অভিযোগ দেবে বলেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্কুলের ভেতরেই দুই শিক্ষকের চুলোচুলি!
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে যান
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে জুতাপেটা এবং চুল ধরে টানাটানিসহ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমানের কাছে ছুটি চান সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন। প্রধান শিক্ষক তাকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্কুল করে ছুটি নিতে বললে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় নাসিমা খাতুনকে গালিগালাজ করেন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন পায়ে থেকে জুতা খুলে মাহবুবুর রহমানের দিকে এগিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকও তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেন। পরে নাসিমা খাতুন প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করেন।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলসহ স্থানীয় শিক্ষক নেতারা ঘটনাস্থলে যান। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন প্রধান শিক্ষক একেএম মাহবুবুর রহমান। এরপর থেকেই তার আচরণে পরিবর্তন আসে। প্রায়ই সহকর্মীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, “আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যে যা ঘটেছে, তা আমরা নিজেরাই মিমাংসা করে নেবো।”
পাটকিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তারপর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে এ ধরনের আচরণ করেন। শনিবারেও সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস খান টুটুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আপস করে নিতে বলেছি।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল হক বলেন, “আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। রবিবার (৯ জানুয়ারি) অভিযোগ দেবে বলেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”