অনশন শুরু করা ২৪ শিক্ষার্থীর সবাই ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সবাইকে স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে
অনশনরত আরও ৩ শিক্ষার্থীসহ মোট ১১ জন হাসপাতালে ঢাকা ট্রিবিউন
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০২:১৮ পিএমআপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০২:১৮ পিএম
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসা আরও তিন শিক্ষার্থীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাদের।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন শুরু করা ২৪ শিক্ষার্থীর সবাই ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সবাইকে স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তীব্র শীতের মধ্যেও উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনকারীরাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
এদিকে কয়েক দফায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা এবং অনশন ভাঙতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল এসেও তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রদর্শন করেন এবং আবাসিক হল ও বাসায় ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থানে অনড়।
এদিকে, এক শিক্ষার্থীর অনশনে থাকার কথা জেনে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একজন মুখপাত্র।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, “অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে সোডিয়াম পটাশিয়াম লেভেল নেমে যেতে থাকে। কাজল দাশ নামে এক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তা এতটাই নেমে গেছে যে অত্যধিক মাত্রায় পেশী পুল ও সংকোচন করায় তার শরীরের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। এদিকে আবার একজনের ব্লাড প্রেশার নেমে গেছে অনেক। অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা বলেন, “অনশনকারী শিক্ষার্থীদের কিছু হলে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দায়ভার নিতে হবে।”
গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু প্রাধ্যক্ষবিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি ওঠে। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া সিলেটের ২৫ বিশিষ্ট নাগরিকের প্রতিনিধিদল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান।
একে একে নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন শাবির অনশনকারীরা
অনশন শুরু করা ২৪ শিক্ষার্থীর সবাই ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সবাইকে স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসা আরও তিন শিক্ষার্থীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাদের।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন শুরু করা ২৪ শিক্ষার্থীর সবাই ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সবাইকে স্যালাইন ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তীব্র শীতের মধ্যেও উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনকারীরাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
এদিকে কয়েক দফায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা এবং অনশন ভাঙতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল এসেও তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রদর্শন করেন এবং আবাসিক হল ও বাসায় ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থানে অনড়।
এদিকে, এক শিক্ষার্থীর অনশনে থাকার কথা জেনে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একজন মুখপাত্র।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, “অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে সোডিয়াম পটাশিয়াম লেভেল নেমে যেতে থাকে। কাজল দাশ নামে এক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তা এতটাই নেমে গেছে যে অত্যধিক মাত্রায় পেশী পুল ও সংকোচন করায় তার শরীরের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। এদিকে আবার একজনের ব্লাড প্রেশার নেমে গেছে অনেক। অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা বলেন, “অনশনকারী শিক্ষার্থীদের কিছু হলে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দায়ভার নিতে হবে।”
গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু প্রাধ্যক্ষবিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি ওঠে। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া সিলেটের ২৫ বিশিষ্ট নাগরিকের প্রতিনিধিদল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান।
বিষয়: