শনিবার দিবাগত রাতে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা ঢাকা ট্রিবিউন
সিরাজুল ইসলাম, সিলেট
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৫৬ এএমআপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ পিএম
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময়ে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। জবাবে পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান করা কথা বলে শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন ডা. দীপু মনি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আবারও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলে অনশন প্রত্যাহারের বিষয়ে জানাবে বলে জানিয়েছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাত আড়াইটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার বরাত দিয়ে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এও বলেছেন, তাদের জীবন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন তিনি।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এ আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের আইনগত কিংবা একাডেমিক কোনো সমস্যা হবে না। তিনি অনশন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের প্রস্তাবনা লিখিত আকারে দাখিলেরও পরামর্শ দেন। জবাবে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে রবিবার শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।”
অবশ্য এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, শনিবার রাতে আবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। অনশনকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব ও কাজল দাশ ছাড়াও আন্দোলনকারী ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শাবির আইআইসিটি ভবনের ১২৯ নম্বর কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বৈঠক চলাকালে এবং বৈঠক শেষ হবার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে নানামুখী শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ফোনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরবর্তীতে তাদের এ আলোচনা ভেস্তে যায়। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার দ্বার এখনও খোলা। এরপর রাতে মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, শাবির ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ৭ জন অনশনস্থলে এবং একজন পারিবারিক কারণে অনশন ভেঙেছেন। শনিবার রাত থেকে তাদের সঙ্গে আরও ৩ জন শিক্ষার্থী গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন।
শাবি শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর
শনিবার দিবাগত রাতে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময়ে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। জবাবে পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান করা কথা বলে শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন ডা. দীপু মনি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আবারও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলে অনশন প্রত্যাহারের বিষয়ে জানাবে বলে জানিয়েছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাত আড়াইটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার বরাত দিয়ে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এও বলেছেন, তাদের জীবন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেন তিনি।”
আরও পড়ুন- শাবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এ আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের আইনগত কিংবা একাডেমিক কোনো সমস্যা হবে না। তিনি অনশন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের প্রস্তাবনা লিখিত আকারে দাখিলেরও পরামর্শ দেন। জবাবে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে রবিবার শিক্ষামন্ত্রীকে জানাবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।”
অবশ্য এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- শাবি শিক্ষার্থীদের আবারও আলোচনায় বসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
এর আগে, শনিবার রাতে আবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। অনশনকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব ও কাজল দাশ ছাড়াও আন্দোলনকারী ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। শাবির আইআইসিটি ভবনের ১২৯ নম্বর কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বৈঠক চলাকালে এবং বৈঠক শেষ হবার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে নানামুখী শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন- শাবিতে এবার গণ-অনশনের ডাক
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ফোনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরবর্তীতে তাদের এ আলোচনা ভেস্তে যায়। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার দ্বার এখনও খোলা। এরপর রাতে মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, শাবির ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ৭ জন অনশনস্থলে এবং একজন পারিবারিক কারণে অনশন ভেঙেছেন। শনিবার রাত থেকে তাদের সঙ্গে আরও ৩ জন শিক্ষার্থী গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন।
বিষয়: