ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এসএম হল) এক শিক্ষার্থীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করেছেন তার সহপাঠীরা। এই আয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রচার (লাইভ) করায় অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সরাসরি দেখেছেন।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসএম হলের ভেতরের মাঠে গায়েহলুদের এই আয়োজন করা হয়।
পাত্রের নাম হাবিবুর রহমান রবিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। পাত্রী রোকেয়া হলের, তারই সহপাঠী। তার গায়েহলুদের আয়োজনে হলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতারাও অংশ নেন। তারা হাবিবুরের মুখে হলুদ মাখিয়ে নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন হাবিবুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।
আয়োজনটি ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করেন এসএম হল সংসদের সাবেক ভিপি এম এম কামাল উদ্দীন। সেখানে পাত্র হাবিবুর রহমানও কথা বলেন। দ্রুতই বিয়ে করতে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রজীবনে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে মোটেও সহজ ছিল না। তবু আমরা দুই পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। অবশেষে সবার দোয়ায় কিছু একটা হতে যাচ্ছে। সবার কাছে দোয়া চাই।’’
এ বিষয়ে হাবিবুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বাড়িতে বিয়ের আয়োজন হলে বন্ধুদের সবাই উপস্থিত হতে পারবেন না। তাই আমার সহপাঠীরা ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী এই গায়েহলুদের আয়োজন করেছে। এই আয়োজনের জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন করতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগছে।’’
হাবিবুর রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘‘হলের শিক্ষার্থীরা গায়েহলুদের আয়োজনটি করেছিলেন। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ডাকায় আমরাও অনুষ্ঠানটিতে গিয়েছি। এর আগে হাবিবুরের গ্রামের বাড়িতে গায়েহলুদ হয়েছে। এখন হলে সহপাঠী ও বড়-ছোট ভাইদের নিয়ে সে গায়েহলুদ করল।’’
অবশ্য এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমানের ভাষ্য, এটি আসল গায়েহলুদ নয়, একটি ‘‘শুটিংয়ের অনুষ্ঠান’’ ছিল। শুটিংয়ের কথা বলেই এর অনুমতি নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা এতে অংশ নিয়েছে।
এ বিষয়ে গায়েহলুদের আয়োজক হাবিবুরের এক সহপাঠী জানান, তারা হল প্রশাসনের কাছ থেকে সেভাবে কোনো অনুমতি নেননি। কারণ, এটি তাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ও সাধারণ একটি আয়োজন।