করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্ধারিত কোনো তারিখ বলতে পারেননি তিনি।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আজ রাতে জাতীয় পরামর্শ কমিটির সঙ্গে সভা আছে। আমরা করোনাভাইরাসের অবস্থা পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব। এ বিষয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হবে। তারপরে খুব শিগগিরই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব বলে মনে করছি। নির্ধারিত তারিখ বলতে না পারলেও আমরা আশা করছি এ মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”
শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় যেভাবে যতটুকু ক্লাস নেওয়া সম্ভব আমরা ততটুকু করবো। যত দ্রুত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, ততো দ্রুত স্বাভাবিকভাবে সব ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।”
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিবান্ধব হয়, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে তারা যেন দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠতে পারে এবং মানবজীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো অর্জন করে তারা যেন মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়, সেটি নতুন শিক্ষা কারিকুলামে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।”
সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যত সংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক আসন আমাদের রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে কোনো অসুবিধা হবে না।”
এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ৩১ জন চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।