গোপালগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজীকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মো. আবু বকর মিয়া জানান, শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানার আদালতে ২২ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজী। আদালতে উপস্থিত থেকে ওই তরুণী ঘটনার বর্ণনা দেন। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
গ্রেপ্তার নাঈম কাজী সরকারি মুকসুদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের বাসিন্দা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ২১ জানুয়ারি শুক্রবার ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজী তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে সে তার তিন সহযোগী লুৎফর কাজী, জসীম মুন্সি ও এমদাদুল হকের সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে। এরপর ওই তরুণীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে ওই তরুণীর পিতা নাঈম কাজীকে প্রধান আসামী করে চার জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে গোপালগঞ্জের নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক পিটিশনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে মুকসুদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
তারপর পিটিশনটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করে মুকসুদপুর থানা। ওই দিন রাতেই মুকসুদপুর থানা পুলিশ উপজেলা সদর থেকে নাইম কাজীকে গ্রেপ্তার করে।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা জানান, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম কাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।