গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে সুমাইয়া আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করেছে তার স্বামী। পরে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে খাটের নীচ থেকে চাদরে মোড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ তথ্য ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার কাপাসিয়ার মধ্যপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী এবং পাশের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখাঁরচালা গ্রামের মৃত জজ মিয়ার মেয়ে।
নিহতের ভাই মোহসিনের বরাত দিয়ে এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় বছর খানেক আগে কাপাসিয়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাজ মিস্ত্রি জাসিম উদ্দিনের সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে সুমাইয়াকে গলাটিপে হত্যা করে তার স্বামী জসিম। পরে নিহতের লাশ বিছানার চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ঘরের খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে।
এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রাতে কাপাসিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে যান সুমাইয়ার মা। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আচরণ সন্দেহ হলে সুমাইয়ার মা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমের ঘরের খাটের নীচ থেকে লাশ উদ্ধার করে।
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামী জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। জসিম সুমাইয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।